নিজস্ব প্রতিবেদক
মহাসড়কে অবৈধ ভাবে চলাচলরত রিক্সা গুলোকে আটক করে রাখা হয় কাঁচপুরের ড্রামপিং জোনে। জব্দকৃত রিক্সা ড্রামপিং না হয়ে পরে আছে দীর্ঘ সময় ধরে। এলাকাবাসির বলছে কাঁচপুরে রিক্সার কবর স্থান। তবে আইনী প্রক্রিয়ার জন্য জব্দকৃত রিক্সা ড্রামপিং করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি পুলিশের দাবি।
জানা গেছে, ঢাকা- চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় শতাধিক স্থান দিয়ে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে রিক্সা। এসব রিক্সা প্রায় প্রতিদিনি আটক করে ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। জব্দকৃত রিক্সা গুলো ড্রামপিং করার জন্য রাখা হয় কাঁচপুর ও মেঘনা এলাকার দু’টি জোনে।
সূত্র মতে’ ১৯৪১ সালে ঢাকায় রিক্সার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১ টিতে। বর্তমানে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুসারে, ঢাকায় কমপক্ষে ৫ লক্ষাধিক রিক্সা চলাচল করে এবং ঢাকার ৪০ শতাংশ মানুষই রিক্সায় চলাচল করে। ২০১৫ সালে এটিকে বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে তাদের বইয়ে স্থান দেয় গিনেস বুক। এসব রিক্সা গুলো বিভিন্ন স্থান দিয়ে মহাসড়কে প্রবেশ করে। এছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ ও আড়াইহাজারের বিভিন্ন স্থান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের উপর চলাচল করে অবৈধ রিক্সা।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. মোজাফর হোসেন জানান, কাঁচপুর ও মেঘনা এলাকায় দু’টি ড্রামপিং আছে। সেখানে মহাসড়ক থেকে আটকৃত রিক্সা গুলো রাখায়। দীর্ঘ সময় ধরে ড্রামপিংয়ের জন্য রিক্সা রাখা হচ্ছে। তবে ড্রামপিং করার জন্য আইনী ব্যাপার রয়েছে। আদালতের প্রক্রিয়া ছাড়া এখানে জব্দকৃত রিক্সা ড্রামপিং করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি।
ট্রাফিক পরির্দশক তাসলিম মোল্লা জানান, কাঁচপুরের ড্রামপিং জোনটি ঢাকা মেক্ট্রো পলিটন পুলিশ (ডিএমপি’র)। নারায়ণগঞ্জ পুলিশের ড্রাপিং স্থান না থাকায় আমরা ঢাকা- চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলরত অবৈধ রিক্সা গুলো জব্দ করার পর ডিএমপি’র ড্রামপিং রাখছি। তিনি আরও জানান ড্রামপিং স্থানের রিক্সা গুলো কেন ড্রামপিং করা হচ্ছে না তা আমরা জানি না।